সর্বশেষ

Friday, July 25, 2025

অ্যাপলের এআই মডেলে ব্যবহারকারীর তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার দাবি

অ্যাপলের এআই মডেলে ব্যবহারকারীর তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার দাবি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল তৈরি ও উন্নয়নের জন্য ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে উঠছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর ফলে অনলাইনে তথ্য সুরক্ষা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে সম্প্রতি অ্যাপল জানিয়েছে, তাদের এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের পরিবর্তে কৃত্রিমভাবে তৈরি তথ্যভান্ডার ব্যবহার করা হয়।

অ্যাপলের তথ্য অনুযায়ী, তাদের এআই মডেল দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ কাজ করে সরাসরি ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে, এবং অপরটি পরিচালিত হয় অ্যাপলের নিজস্ব ‘প্রাইভেট কম্পিউটিং’ অবকাঠামোর মাধ্যমে। এর ফলে প্রতিটি পর্যায়ে ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপদ থাকে বলে দাবি করেছে অ্যাপল।

অ্যাপল জানায়, ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা তাদের দীর্ঘদিনের মূলনীতি। এ কারণে তাদের এআই অবকাঠামোর প্রতিটি স্তর গোপনীয়তা রক্ষার কথা মাথায় রেখে নকশা করা হয়েছে। তবে এই কঠোর নীতির কারণে এআই মডেলের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত তথ্যভান্ডার সীমিত হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে গুগল বা ওপেনএআইয়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় অ্যাপল পিছিয়ে পড়ছে।

অ্যাপলের উন্নত চিপসেট ও সফটওয়্যার ইন্টিগ্রেশনের সুবিধার কারণে তাদের বেশিরভাগ এআই কার্যক্রম সরাসরি ডিভাইসেই সম্পন্ন হয়। এতে আলাদা ক্লাউড প্রসেসিংয়ের প্রয়োজন পড়ে না, যা গোপনীয়তা রক্ষার দিক থেকে অনেকটাই নিরাপদ। তবে অ্যাপল পণ্য ব্যবহারকারীরা যখন ওপেনএআই বা গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের তৈরি এআই টুল ব্যবহার করেন, তখন সেই তথ্য অ্যাপলের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ফলে তথ্য কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যায়।
এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার: বাংলাদেশে গভীর সংকট ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা

এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার: বাংলাদেশে গভীর সংকট ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তার বাংলাদেশে উদ্ভাবনের পাশাপাশি সামাজিক, রাজনৈতিক এবং নৈতিক সংকট সৃষ্টি করছে। এআই-এর মাধ্যমে তৈরি ভুয়া ছবি, ভিডিও এবং অপতথ্য রাজনৈতিক নেতা, নারী এবং সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে ছড়িয়ে পড়ছে, যা ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ডিজিটাল সাক্ষরতার অভাব এবং শক্তিশালী আইনি কাঠামোর ঘাটতির কারণে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

#### নারীদের প্রতি ডিজিটাল আগ্রাসন

নারী, বিশেষ করে রাজনৈতিক নেত্রীরা, এআই অপব্যবহারের প্রধান শিকার। এআই-এর মাধ্যমে তৈরি শ্লীলতাহানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে। এম্পাওয়ারমেন্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭২% নারী অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়েছেন, যার ৮২% ক্ষেত্রে এআই-এর মাধ্যমে তৈরি অশ্লীল ছবি ও ভিডিও জড়িত। এই কনটেন্ট ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পাশাপাশি সমাজে বিভক্তি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়াচ্ছে।

#### জাতীয় সংকটে অপতথ্যের প্রভাব

গত ১০ জুলাই সাভারে একটি মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে, যা দেশকে শোকাচ্ছন্ন করে। কিন্তু এই সময়ে এআই-এর মাধ্যমে তৈরি ভুয়া ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তথ্য যাচাই সংস্থা ট্রুথগার্ড এই ভিডিওগুলোকে এআই-চালিত কল্পিত দৃশ্য হিসেবে শনাক্ত করেছে, যেখানে স্থানের বিবরণ এবং ভিজ্যুয়ালে ভুল ছিল। এই ঘটনা জাতীয় সংকটে এআই অপব্যবহারের ভয়াবহতা প্রকাশ করে।

#### প্রশাসনিক ও আইনি ঘাটতি

সরকার এআই অপব্যবহার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রেজাউল করিম বলেন, “সাইবার নিরাপত্তা আইনে এআই অপব্যবহার রোধের বিধান থাকলেও, আইন প্রয়োগে দুর্বলতা এবং জনগণের সীমিত ডিজিটাল সচেতনতা এটিকে জটিল করে তুলেছে।” 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারজানা আক্তার বলেন, “উন্নত দেশগুলো এআই অপব্যবহার রোধে উন্নত প্রযুক্তি ও নীতি প্রয়োগ করছে। বাংলাদেশেও নজরদারি ইউনিট গঠন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ জরুরি।” 

যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রযুক্তি বিশ্লেষক আয়েশা সিদ্দিকী বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় এআই-চালিত অপতথ্যের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। নারীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সহিংসতা রোধে কঠোর আইন, তথ্য যাচাই প্ল্যাটফর্ম এবং মিডিয়া সাক্ষরতা অপরিহার্য।”

#### সোশ্যাল মিডিয়ায় অপতথ্যের বিস্তার

সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ফেসবুক, এক্স এবং ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে ৯২% পোস্ট এআই রিকমেন্ডেশনের মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। গত ছয় মাসে অপতথ্যের হার ৩৫০ গুণ বেড়েছে, যা রাজনৈতিক অপপ্রচার এবং সামাজিক বিভাজনকে তীব্র করছে। ডিপফেক, সিন্থেটিক ভিডিও এবং ভয়েস ক্লোনিং প্রযুক্তির সহজলভ্যতা সাধারণ মানুষকেও বাস্তবসদৃশ ভুয়া কনটেন্ট তৈরির সুযোগ দিচ্ছে। প্রযুক্তিবিদরা আশঙ্কা করছেন, নির্বাচনের আগে ডিজিটাল সহিংসতা ও অপপ্রচার বহুগুণ বাড়বে।

#### আইনি ও নীতিগত শূন্যতা

বাংলাদেশে এআই অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এআই-চালিত ভুয়া কনটেন্টকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা, ডিপফেক শনাক্তকরণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার এবং সোশ্যাল মিডিয়া নজরদারির জন্য বিশেষ টিম গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। 

ড. ফারজানা আক্তার বলেন, “কঠোর নজরদারি ছাড়া অপতথ্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ টিম গঠন করে ডিজিটাল স্পেস সুরক্ষিত করতে হবে।” 

আয়েশা সিদ্দিকী যোগ করেন, “ফেসবুক, এক্স এবং ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে হবে। সরকারের উচিত এই প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করা।”

#### ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ

বিশেষজ্ঞরা এআই অপব্যবহার রোধে বহুমুখী পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন:

- কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন

- উন্নত তথ্য যাচাই ও ডিপফেক শনাক্তকরণ প্রযুক্তি প্রয়োগ

- প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে নজরদারি টিম গঠন

- জনগণের ডিজিটাল ও মিডিয়া সাক্ষরতা বৃদ্ধি

- সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে কার্যকর সমন্বয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক সতর্ক করে বলেন, “এআই-চালিত অপতথ্যের বৃদ্ধি নির্বাচনের আগে দেশকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাৎক্ষণিক ও সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া ডিজিটাল বিপর্যয় এড়ানো অসম্ভব।”

#### উপসংহার

বাংলাদেশে এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার একটি গভীর সংকটে রূপ নিচ্ছে, যা সামাজিক স্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক অখণ্ডতা এবং মানবাধিকারের জন্য হুমকি। সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ এবং জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা ছাড়া এই সংকট মোকাবিলা অসম্ভব। অন্যথায়, আসন্ন নির্বাচন এবং দেশের ভবিষ্যৎ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এবং ডিজিটাল জগতে একটি বিপর্যয়কর সংকটের আশঙ্কা বেড়ে যাবে।



Thursday, July 24, 2025

স্টারলিংকের বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট বিভ্রাট: সফটওয়্যার ব্যর্থতায় হাজার হাজার ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্ত

স্টারলিংকের বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট বিভ্রাট: সফটওয়্যার ব্যর্থতায় হাজার হাজার ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্ত

ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এক বিরল ও ব্যাপক বিভ্রাটের মুখে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা স্থায়ী এই বিভ্রাটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার ব্যবহারকারী ইন্টারনেট সংযোগ হারান। স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক এবং স্টারলিংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

স্টারলিংক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল নিকোলস এক্সে জানান, “বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা (১৯০০ জিএমটি) থেকে এই বিভ্রাট শুরু হয়। মূল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যার সেবার ব্যর্থতার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়।” ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণ সংস্থা ডাউনডিটেক্টরের তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে ৬১,০০০-এর বেশি ব্যবহারকারী সেবা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ জানান। নিকোলস আরও বলেন, “আমরা এই অসুবিধার জন্য দুঃখিত এবং সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ইলন মাস্ক নিজেও এক্সে পোস্ট করে বলেন, “বিভ্রাটের জন্য দুঃখিত। স্পেসএক্স মূল কারণ চিহ্নিত করে এটির স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করবে।” তিনি জানান, প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সেবা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুনরায় চালু হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ৬০ লাখের বেশি গ্রাহক এবং প্রায় ১৪০টি দেশ ও অঞ্চলে সেবা প্রদানকারী স্টারলিংক স্পেসএক্সের সবচেয়ে বাণিজ্যিকভাবে সংবেদনশীল প্রকল্প। ২০২০ সাল থেকে স্পেসএক্স ৮,০০০-এর বেশি স্টারলিংক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে, যা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এই নেটওয়ার্ক গ্রামীণ এলাকা, সামরিক বাহিনী, এবং পরিবহন শিল্পের জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে।

বিশেষজ্ঞরা এই বিভ্রাটকে স্টারলিংকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কেন্টিকের ইন্টারনেট বিশ্লেষক ডগ ম্যাডোরি বলেন, “এটি সম্ভবত স্টারলিংকের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বিভ্রাট, বিশেষ করে এটি যখন একটি প্রধান সেবা প্রদানকারীতে পরিণত হয়েছে।” তিনি এটিকে একটি বিরল ও ব্যাপক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন।

কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি ল্যাবরেটরির পরিচালক গ্রেগরি ফ্যালকোর মতে, এটি সম্ভবত একটি ত্রুটিপূর্ণ সফটওয়্যার আপডেট বা সাইবার আক্রমণের ফল হতে পারে, যা গত বছর ক্রাউডস্ট্রাইকের সফটওয়্যার আপডেটের কারণে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী বিভ্রাটের সঙ্গে তুলনীয়। তবে, স্পেসএক্স নিশ্চিত করেছে যে এটি একটি অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যার সমস্যা, এবং তারা এটির পুনরাবৃত্তি রোধে কাজ করছে।

এই বিভ্রাট ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারকারীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যারা যুদ্ধক্ষেত্রে যোগাযোগের জন্য স্টারলিংকের উপর নির্ভর করে। তবে, টি-মোবাইলের সঙ্গে স্টারলিংকের ডাইরেক্ট-টু-সেল সেবা এই বিভ্রাটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

স্টারলিংকের এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করলেও, কেউ কেউ এই বিরল বিভ্রাটকে হালকাভাবে নিয়ে মজার মিম শেয়ার করেছেন। স্পেসএক্স জানিয়েছে, তারা এই সমস্যার পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করবে।

Wednesday, July 23, 2025

মাইলস্টোন দুর্ঘটনার আগেই রহস্যজনক ফেসবুক পোস্ট: আন্তর্জাতিক বেটিং-স্ক্যাম চক্রের হাত

মাইলস্টোন দুর্ঘটনার আগেই রহস্যজনক ফেসবুক পোস্ট: আন্তর্জাতিক বেটিং-স্ক্যাম চক্রের হাত

 মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির একদিন আগেই একটি রহস্যজনক ফেসবুক পোস্ট দেশের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ‘অ্যানোনিমাস মেইন পেজ’ নামের একটি ভেরিফায়েড পেজ থেকে ‘একটি স্কুল ভবন ধসে বহু শিশু প্রাণ হারাবে’ শীর্ষক সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। পরদিনই বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

প্রাথমিক তদন্তে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, এই পোস্টের পেছনে রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক বেটিং ও স্ক্যাম চক্র। এটি ভবিষ্যদ্বাণী নয়, বরং সুপরিকল্পিতভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি ও গুজব ছড়ানোর অপকৌশল।

২০ জুলাই ‘অ্যানোনিমাস মেইন পেজ’-এ দেওয়া সেই পোস্টে বলা হয়, ‘একটি স্কুল ভবন ধসে পড়তে যাচ্ছে, বহু শিশু প্রাণ হারাবে। আমরা এক ভয়াবহ বিপর্যয় এগিয়ে আসতে দেখছি।’ একদিন পর ২১ জুলাই দুপুর ১টা ৬ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। পরদিন একই পেজ থেকে আরেক পোস্টে লেখা হয়, ‘আমরা সব সময় আগেভাগেই সতর্কবার্তা দিই, কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয় না। এটি লজ্জাজনক।’

অনেকেই এই পোস্টটিকে কোনো হ্যাকার গ্রুপের ‘ভবিষ্যত দেখার ক্ষমতা’ হিসেবে মনে করেন, তবে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান প্রোবফ্লাই আইটির ফাউন্ডার আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ‘এই পেজটি একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন বেটিং ও স্ক্যাম নেটওয়ার্কের অংশ। চারজনের পরিচালনায় — দুই নাইজেরিয়ান, একজন আমেরিকান এবং অপর একজনের পরিচয় অজানা। তারা গুজব ছড়িয়ে ফলোয়ার বাড়িয়ে স্ক্যামিং করত।’

আরেক সাইবার বিশেষজ্ঞ আব্দুল্লাহ আল জাবির বলেন, ‘তারা ভবনের ধস বলে একটি অস্পষ্ট বার্তা দিয়ে বিমান দুর্ঘটনার সঙ্গে জোর করে মিলিয়ে মনস্তাত্ত্বিক খেলা খেলছে। তারা আফ্রিকা থেকে অপারেট করছিল।’

এএফপি’র সাবেক ফ্যাক্ট-চেক সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির স্পষ্ট করেছেন, ‘এই পেজটির অ্যানোনিমাস বা কোনো হ্যাকার গ্রুপের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এটি বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত একটি গুজব-ভিত্তিক স্ক্যাম পেজ, যা অনলাইন বেটিং প্রচারে ব্যবহৃত হয়।’

সাইবার বিশেষজ্ঞরা জনগণকে সতর্ক থাকার এবং বিশ্বস্ত সূত্র ছাড়া কোনো তথ্য বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছেন। আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ‘সরকারি ও বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যম থেকে সংবাদ গ্রহণ করুন, অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া অপ্রমাণিত তথ্য থেকে দূরে থাকুন।’

মাইলস্টোন দুর্ঘটনার মতো ট্র্যাজেডি কাজে লাগিয়ে ভয়াবহ গুজব ছড়িয়ে সমাজে প্রযুক্তির অপব্যবহারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে। তাই এখন সময় সচেতনতা বাড়ানোর এবং তথ্য যাচাইয়ের। কারণ ভবিষ্যত কেউ নিশ্চিতভাবে বলে দিতে পারে না, তবে প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে সৃষ্ট বিপদ প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

পুরোনো এসি বাড়াচ্ছে বিদ্যুত খরচ: নতুন কেনার পরামর্শ

পুরোনো এসি বাড়াচ্ছে বিদ্যুত খরচ: নতুন কেনার পরামর্শ

 
বাড়ি ও অফিসে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) ব্যবহারে বর্ষাকালে ঘরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে স্বস্তির পরিবেশ পাওয়া যায়। অনেকেই দীর্ঘ বছর ধরে একই এসি ব্যবহার করেন, যা হয়তো কোনো সমস্যা ছাড়াই চলে। কিন্তু পুরোনো এসি কি আপনার বিদ্যুত বিল বাড়িয়ে দিচ্ছে? এমন প্রশ্ন মনে আসা স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০ বছরের বেশি পুরোনো এসি বিদ্যুত খরচ বাড়াতে পারে এবং এটি বদলানোর সময় হয়ে গেছে।

পুরোনো এসির বিদ্যুত খরচ বৃদ্ধির কারণ

সাধারণত একটি এসির আয়ু ১০-১৫ বছর। এ সময়ের পর কম্প্রেসর, মোটর ও কয়েলের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ফলে এসির কুলিং ক্ষমতা কমে যায় এবং ঘর ঠান্ডা রাখতে এসিকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এতে বিদ্যুত খরচ বাড়ে।

পুরোনো এসিতে ইনভার্টার প্রযুক্তি থাকে না, যা তাপমাত্রা অনুযায়ী কম্প্রেসরের গতি নিয়ন্ত্রণ করে বিদ্যুত অপচয় কমায়। এছাড়া, নিয়মিত সার্ভিসিং না করলে ধুলো, ময়লা ও মরিচা জমে এসির কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। গ্যাস লিকেজের সমস্যাও দেখা দিতে পারে, যা কুলিং ক্ষমতা কমিয়ে এসির উপর চাপ বাড়ায়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, পুরোনো এসিতে রেফ্রিজারেন্ট লিক হওয়ার ঝুঁকি বেশি, যা সিস্টেমের উপর চাপ বাড়ায় এবং বিদ্যুত খরচ বৃদ্ধি করে। এছাড়া, পুরোনো এসিগুলোর স্টার রেটিং কম থাকে, যা এনার্জি এফিশিয়েন্সি হ্রাস করে এবং বিদ্যুত অপচয় বাড়ায়।

সমাধান কী?

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, যদি আপনার এসি ১০ বছরের বেশি পুরোনো হয়, তবে নতুন এসি কেনা বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত। আধুনিক ইনভার্টার এসি এবং উচ্চ স্টার রেটিং সম্পন্ন এসি বিদ্যুত খরচ কমায় এবং ভালো কুলিং প্রদান করে। নিয়মিত সার্ভিসিং এবং রেফ্রিজারেন্ট লিক পরীক্ষা করাও এসির কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়ক।

নতুন এসি কিনে বিদ্যুত বিলের বোঝা কমানোর পাশাপাশি আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করুন।

যুক্তরাজ্যে সাইবার হামলার ঝড়: দুর্বল পাসওয়ার্ডে ধ্বংস হলো ১৫৮ বছরের কেএনপি, ক্ষতিগ্রস্ত এম অ্যান্ড এস

যুক্তরাজ্যে সাইবার হামলার ঝড়: দুর্বল পাসওয়ার্ডে ধ্বংস হলো ১৫৮ বছরের কেএনপি, ক্ষতিগ্রস্ত এম অ্যান্ড এস

 

আকিরা’ নামে একটি হ্যাকার চক্র একটি দুর্বল পাসওয়ার্ড অনুমান করে সাইবার হামলা চালিয়ে যুক্তরাজ্যের ১৫৮ বছরের পুরোনো পরিবহন প্রতিষ্ঠান কেএনপিকে ধ্বংস করেছে। এই হামলার ফলে প্রতিষ্ঠানটি সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়, যার জেরে প্রায় ৭০০ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এছাড়া, এম অ্যান্ড এস, কো-অপ এবং হ্যারডসের মতো খ্যাতনামা খুচরা প্রতিষ্ঠানও সাম্প্রতিক সাইবার হামলার শিকার হয়েছে।

কেএনপির ধ্বংস

নর্থাম্পটনশায়ারভিত্তিক কেএনপি পরিবহন খাতে নাইটস অব ওল্ড ব্র্যান্ডের অধীনে ৫০০টি লরি পরিচালনা করত। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো শিল্পমান অনুযায়ী নিরাপদ থাকলেও এক কর্মীর দুর্বল পাসওয়ার্ড অনুমান করে হ্যাকাররা সিস্টেমে প্রবেশ করে। তারা প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য এনক্রিপ্ট করে এবং অভ্যন্তরীণ সার্ভার লক করে দেয়। ফলে কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা সেবা ব্যবস্থাপনায় প্রবেশ করতে পারেননি। হ্যাকাররা একটি নোট রেখে যায়, যেখানে লেখা ছিল, ‘আপনার প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কাঠামো আংশিক বা পুরোপুরি অচল হয়ে গেছে।’ সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ধারণা, হ্যাকাররা প্রায় ৫০ লাখ পাউন্ড মুক্তিপণ দাবি করেছিল। কেএনপি এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সব ডেটা হারিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এম অ্যান্ড এস-এর ক্ষতি

চলতি বছরের মে মাসে ব্রিটিশ খুচরা বিপণন প্রতিষ্ঠান মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার (এম অ্যান্ড এস) সাইবার হামলার শিকার হয়। এই হামলায় তাদের অনলাইন কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং প্রায় ৩০ কোটি পাউন্ড লোকসানের আশঙ্কা তৈরি হয়। প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানায়, গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, ইমেইল ঠিকানা, ডাক ঠিকানা এবং জন্ম তারিখ চুরি হয়েছে। তবে, কার্ড বা পেমেন্ট বিবরণ এবং অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড চুরি হয়নি। এম অ্যান্ড এস জানায়, ‘ফ্যাশন, হোম ও বিউটি বিভাগে অনলাইন বিক্রি এবং মুনাফা উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে অফলাইন স্টোরগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।’ প্রতিষ্ঠানটি জুন-জুলাই মাসজুড়ে ধাপে ধাপে অনলাইন কার্যক্রম পুনরায় চালু করলেও ক্ষতির প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা

এম অ্যান্ড এস-এর পাশাপাশি কো-অপ এবং হ্যারডসও একই হ্যাকার চক্র ‘ড্রাগনফোর্স’-এর মাধ্যমে হামলার শিকার হয়। কো-অপ-এর ক্ষেত্রে হ্যাকাররা ৬৫ লাখ সদস্যের তথ্য চুরি করে এবং র‍্যানসমওয়্যার সংক্রমণ রোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের সিস্টেম ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করে। হ্যারডসও অনুরূপ হামলার শিকার হয় এবং নিরাপত্তার জন্য তাদের ওয়েবসাইটে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস সীমিত করে।

হ্যাকার চক্র ও তদন্ত

এই হামলাগুলোর পেছনে ‘ড্রাগনফোর্স’ নামে একটি সাইবার অপরাধ সেবা জড়িত, যারা র‍্যানসমওয়্যার এবং ডেটা চুরির জন্য ডার্কনেটে সেবা প্রদান করে। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এই হামলাগুলোর সঙ্গে ‘স্ক্যাটার্ড স্পাইডার’ নামে একটি তরুণ হ্যাকার দল জড়িত, যারা ডিসকর্ড ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে সংগঠিত হয়। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) এই দলটির উপর তদন্ত চালাচ্ছে। জুলাই ২০২৫-এ এম অ্যান্ড এস, কো-অপ এবং হ্যারডসের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৭ থেকে ২০ বছর বয়সী চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাইবার নিরাপত্তার সতর্কতা

এই ঘটনাগুলো যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে ধরেছে। ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) ব্যবসায়ীদের তাদের আইটি হেল্পডেস্কের পাসওয়ার্ড রিসেট প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ‘সোশ্যව্যাল এঞ্জিনিয়ারিং’-এর মাধ্যমে পাসওয়ার্ড চুরি এবং দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহারের ফলে এ ধরনের হামলা সহজ হয়ে পড়ে।

টিকটকের ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকের কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ

টিকটকের ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকের কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ

 
টিকটক সম্প্রতি ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে টিকটকের নিরাপদ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ এবং কমিউনিটি গাইডলাইনস লঙ্ঘনকারী কনটেন্ট শনাক্তকরণ ও অপসারণের তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ভিডিও অপসারণ

২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে মোট ১ কোটি ১০ লাখ ৬ হাজার ৯৬০টি ভিডিও সরানো হয়েছে। এর মধ্যে ৯৯.৬ শতাংশ ভিডিও সক্রিয়ভাবে শনাক্ত করা হয়েছে, এবং ৯৭.৭ শতাংশ ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ভিডিও অপসারণ

বিশ্বজুড়ে টিকটক এই সময়ে মোট ২১ কোটি ১০ লাখ ভিডিও সরিয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মে আপলোড হওয়া মোট কনটেন্টের প্রায় ০.৯ শতাংশ। এর মধ্যে ১৮ কোটি ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৮৭টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিহ্নিত ও অপসারণ করা হয়েছে। যাচাইয়ের পর ৭৫ লাখ ২৫ হাজার ১৮৪টি ভিডিও পুনরায় প্ল্যাটফর্মে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, ৯৯.০ শতাংশ ভিডিও আগেই চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ৯৪.৩ শতাংশ ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরানো হয়েছে।

অপসারণের কারণ

প্রতিবেদন অনুসারে, অপসারিত ভিডিওগুলোর মধ্যে:

  • ৩০.১ শতাংশ সংবেদনশীল বিষয়বস্তুর কারণে,

  • ১১.৫ শতাংশ নিরাপত্তা নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে,

  • ১৫.৬ শতাংশ গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নির্দেশনা ভঙ্গের কারণে।

এছাড়া, ৪৫.৫ শতাংশ ভিডিও ভুল তথ্য এবং ১৩.৮ শতাংশ ভিডিও এডিট করা বা এআই-জেনারেটেড কনটেন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

টিকটকের স্বচ্ছতা উদ্যোগ

টিকটক নিয়মিতভাবে কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করে, যেখানে কনটেন্ট ও অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্টের স্বচ্ছতা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হয়। টিকটকের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে কনটেন্ট নীতিমালা, টুলস এবং পলিসি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।